রাণীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন, পর্ব:- ২

রাণীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন, পর্ব:- ২

রাণীক্ষেত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রথম ভ্যাকসিনটা যদি চোখের ফোটায় করা যায় সেটা সর্বোত্তম। কারন এর ফলে ডোজ ম্যানটেইন করা সহজ হয়। তবে এর কিছু অসুবিধা ও আছে।

প্রথম ভ্যাকসিন দেয়ার সময়:- ১-৫ দিন চোখে অথবা হ্যাচারি তে স্প্রে র মাধ্যমে।

দ্বিতীয় ভ্যাকসিন:- কন্ট্রোল শেডের ক্ষেত্রে স্প্রে করে, ওপেন শেডে খাবার পানিতে বা সম্ভব হলে চোখে। এটার সময় প্রাদুর্ভাবের উপর নির্ভর করবে। তবে বর্তমানে ২৫ দিনের পর রোগ দেখা দিচ্ছে এইক্ষেত্রে ২১-২২ দিনে ভ্যাকসিন করতে কবে।

পদ্ধতি:-
১। দিনের ঠান্ডা সময়ে ভ্যাক্সিনেশন করতে হবে।
২। ভ্যাকসিনের সাথে দেয়া ডাইলুয়েন্টের সাথে ভ্যাকসিন মিশিয়ে তারপর ড্রপার লাগিয়ে নিন।
৩। এবার একটি বড় কাপড় নিন এবং কাপড়ের ভিতরে যদি সম্ভব হয় একটু বরফ দিয়ে নিন।
৪। তারপর কাপড়টি ভ্যাকসিন মিশ্রিত ডাইলুয়েন্টের বোতলে পেঁচিয়ে নিন। কাপড় পেঁচানো ছাড়া বোতল দিয়ে ভ্যাকসিনেশন করলে হাতের তাপে ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫। এর পর সেডের মুরগী গুলোকে একসাইডে নিয়ে যান এবং বেড়া দিয়ে আলাদা করুন।
৬। একটি একটি করে মুরগীর বাচ্চা ধরুন এবং যত্ন সহকারে চোখে ফোটা দিন। এসময় খেয়াল রাখবেন ড্রপারের মুখ যেন চোখে না লাগে।
৭। চোখে ফোটা দিয়েই বাচ্চা ছেড়ে দিবেন না একটু সময় অপেক্ষা করুন যেন ভ্যাকসিনের পানি চোখের ভিতরে ঢুকে।
৮। পানি ঢুকে গেলে বাচ্চা ছেড়ে দিন এবং পদ্ধতি চালিয়ে যান।
৯। পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক নিয়োগ করুন যেন দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন করা যায়।
১০। একটা বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেলে বোতল কাত করবেন না। বার বার পানি নাড়াছাড়া করলে ভ্যাকসিনের মান নষ্ট হয়ে যায়।

পদ্ধতির অসুবিধা :-
১। বড় মুরগীতে চোখে ভ্যাকসিন দেয়া অনেক কষ্টসাধ্য।
২। বাচ্চা নাড়াচাড়া করে ভ্যাকসিন সঠিক ভাবে না পড়তে পারে।
৩। সময় সাপেক্ষ।

No comments

Powered by Blogger.