ছাগলের লিভার টনিক হলে কি করবেন তা জেনে নিন।
“ লিভার টনিক কি...? এবং কি কি কারনে লিভার টনিক ব্যবহার করা হয় ? “
লিভার টনিক নামটি যারা পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জরিত তাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং এর ব্যবহার সবারই জানা । কিন্তু আমরা যারা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল পালন করি তাদের কাছে ইদানীং একটি পরিচিত নাম হলেও এই জিনিসটির ব্যবহারের ক্ষেত্র এবং কি কি কারনে ব্যবহার করা হয় ব্যবহার করলে কি কি উপকার হয় অথবা ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে কি..? ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুড়পাক খায় এবং সঠিক পরামর্শের অভাবে আমরা লিভারটনিক ব্যবহার করতে পারি না ।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিভারটনিক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক হয়ে পরে এবং বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির লিভারটনিক পাওয়া যায় এই ক্ষেত্রে আবার দ্বিধাদন্ধে পরে ব্যবহার করতে পারেন না । আজ আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিভার টনিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করলাম ।
লিভারটনিক কি :- গবাদি পশু , পোল্টি ইত্যাদির বিভিন্ন প্রকার কৃমির আক্রমন, অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার , লিভারে অতিরিক্ত ক্ষতিকর চর্ভি জমে থাকা , অনেক কারনে পশুর লিভার বা কলিজাতে পঁচন ধরে, কৃমি নাষক ব্যবহার করার পরে এই সকল কারনে এই প্রাণীগুলোর শরীরে বিরাট দকল পরে তাই এই দকল কাটিয়ে সুস্হ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার কোম্পানির বিভিন্ন নামের যে তরল পদার্থটা ব্যবহা করা হয় তাকেই লিভারটনিক বলে ।
বাংলাদেশের ২-১ টি কোম্পানির লিভারটনিক জাতীয় ইন্জেকশনও এখন পাওয়া যায় ঐ গুলো বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষঅজ্ঞ ডাক্তারগণ ব্যবহারের পরামর্শ দেন ।
লিভারটনিক ব্যবহার :- লিভার টনিক যে কোন সুস্হ্য, অসুস্হ্য , গাভীন , বা পাঠা, খাশী, ছাগী সহ সকল পশুতে ব্যবহার করতে পারবেন এটি ১০০% নিরাপদ আর কোন পার্শ প্রতিকৃয়া নাই । তবে পাতলা পায়খানা এবং পেঠফাপা চলাকালীন সময়ে পশুকে যেহেতু পাতলাপায়খানা, পেটফাপার চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন প্রকার চিকিৎসা দেওয়া যাবে না তাই ঐ সময় লিভার টনিক ব্যবহার করা হয় না কারন কিছু কিছু লিভারটনিক আছে ভিটামিন সমৃদ্ধ এর কারনে আবার ডায়রিয়া , পেটফাপা আরো বেড়ে যায়
ব্যাবহারের মাত্রা:- বাজারে যেহেতু বিভিন্ন কোম্পানির ১০০ এর উপরে লিভারটনিক পাওয়া যায় তাই নিদৃষ্ট কোন মাত্রা আগে বলা যাবে না তবে আপনি যে কোম্পীনিরই কিনেন বোতলের গায়ে মাত্রা লেখা থাকে ঐ মাত্রায় বা একটু বেশি দিলেও কোন সমস্যা হবে না । গবাদী পশুর ক্ষেত্রে যদি পানির সাথে দিয়ে না খাওয়াতে পারেন তবে অন্য যে কোন দানাদার খাবারের সাথে খাওয়ালেও প্রায় একই ফলাফল পাবেন ।
লিভারটনিক ব্যাবহারের বাধ্যবাধকতা :- সবসময় ছাগল ভেড়াকে লিভারটনিক খাওয়ানোর কোন বাধ্যবাধকতা নেই তবে কৃমির ঔষুধ খাওয়ালে পর দিন থেকে লিভারটনিক দেওয়াটা জরুরি হয়ে পরে কারন কৃমির ঔষুধ খাওয়ালে লিভারের উপরে খুব দকল পরে এবং পশুটির রুচি কমে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূর্বল হয়ে পরে তাই বাজারে কয়েক প্রকার লিভার টনিক পাওয়া যায়
শুধু ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি ।
ক্যামিকেল এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ।
ক্যামিকেল , প্রকৃতিক উপাদান , ভিটামিন সমৃদ্ধ ইত্যাদি এখানে ভাল কোম্পানি দেখে খাওয়ালে সবগুলোই ভাল কাজ করবে তবে কৃমির ঔষুধ খাওয়ানোর পর দিন থেকে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ লিভারটনিক দিলে পশুটির রুচি স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে । যদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ লিভারটনিক হাতের কাছে না পান তবে যে কোন লিভার টনিকের সাথে আলাদা ভিটামিন বি পাওডার পাওয়া যায় তা প্যাকেটের গায়ে লেখা মাত্রা থেকে একটু বেশি দিতে পারেন ৫-৭ দিন লিভারটনিকের সাথে ।
লিভারটনিকের মূল্য:- বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ১০০ এর উপরে বিভিন্ন নামে লিভার টনিক পাওয়া যায় আর মূল্য ১ লিটার ২৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার উপরেও আছে । এখানে যাদের ১-২ ছাগল , ভেড়া আছে তারা ইচ্চে করলে ১০০ এমএল, ৫০০ এমএল ১ লিটার থেকে পচন্দ করে যেটি ভাল মনে হয় কিনতে পারেন । আর ছাগল ভেড়ার জন্য বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যের কিনতে পারেন । আমি প্রতি মাসে রেগুলার ১ বার একটানা ৫ দিন লিভার টনিক দেয় আর এতে করে লিভার সঠিক থাকে এবং খাদ্য থেকে যাতাযত পুষ্টি গ্রহন করতে পারে । যে মাসে কৃমির ঔষুধ দেয় তখন কৃমির ঔষুধ দেবার পরে লিভার টনিক দেই ।
যেহেতু প্রতি মাসে ১ বার লিভারটনিক ব্যবহার করি তাই ১০০০ টাকা লিটারের উপরে কোন লিভারটনিক ব্যবহার করি না এবং সব সময় বিভিন্ন কোম্পানি পরিবর্তন করে করে ব্যবহার করি । এখানে যে লিভারটনিকের ছবি গুলো দিয়েছি সবগুলোই ১০০০ টাকা লিটারের নিচে লিভাটোন এবং রেসটোলিভ এই দুটি ১ লিটার ৯০০ টাকার উপরে আর বাকি গুলো ২৭০-৫০০ টাকার নিচে তবে দামী গুলো ব্যবহারে মাত্রা কম লাগে ।
বি: দ্র:- লেখাটি যতটুকু পারি বিস্তারিত লিখতে চেষ্টা করেছি আশা করছি যদি মনুযোগ দিয়ে ২-৩ বার পড়লে পোষ্ট সম্পর্কিত ৯৫% উওর পাবেন তার পরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যত খুশি প্রশ্ন করবেন যেষ্টা করব উওর দিতে ইনশিআল্লাহ ।
লেখক:- Md Zahir
মালিক :- B Baria Goats Farm
ছবি :- B Baria Goats Farm
লিভার টনিক নামটি যারা পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জরিত তাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং এর ব্যবহার সবারই জানা । কিন্তু আমরা যারা ছাগল, ভেড়া, গাড়ল পালন করি তাদের কাছে ইদানীং একটি পরিচিত নাম হলেও এই জিনিসটির ব্যবহারের ক্ষেত্র এবং কি কি কারনে ব্যবহার করা হয় ব্যবহার করলে কি কি উপকার হয় অথবা ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে কি..? ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুড়পাক খায় এবং সঠিক পরামর্শের অভাবে আমরা লিভারটনিক ব্যবহার করতে পারি না ।
কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিভারটনিক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক হয়ে পরে এবং বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির লিভারটনিক পাওয়া যায় এই ক্ষেত্রে আবার দ্বিধাদন্ধে পরে ব্যবহার করতে পারেন না । আজ আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিভার টনিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করলাম ।
লিভারটনিক কি :- গবাদি পশু , পোল্টি ইত্যাদির বিভিন্ন প্রকার কৃমির আক্রমন, অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার , লিভারে অতিরিক্ত ক্ষতিকর চর্ভি জমে থাকা , অনেক কারনে পশুর লিভার বা কলিজাতে পঁচন ধরে, কৃমি নাষক ব্যবহার করার পরে এই সকল কারনে এই প্রাণীগুলোর শরীরে বিরাট দকল পরে তাই এই দকল কাটিয়ে সুস্হ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার কোম্পানির বিভিন্ন নামের যে তরল পদার্থটা ব্যবহা করা হয় তাকেই লিভারটনিক বলে ।
বাংলাদেশের ২-১ টি কোম্পানির লিভারটনিক জাতীয় ইন্জেকশনও এখন পাওয়া যায় ঐ গুলো বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষঅজ্ঞ ডাক্তারগণ ব্যবহারের পরামর্শ দেন ।
লিভারটনিক ব্যবহার :- লিভার টনিক যে কোন সুস্হ্য, অসুস্হ্য , গাভীন , বা পাঠা, খাশী, ছাগী সহ সকল পশুতে ব্যবহার করতে পারবেন এটি ১০০% নিরাপদ আর কোন পার্শ প্রতিকৃয়া নাই । তবে পাতলা পায়খানা এবং পেঠফাপা চলাকালীন সময়ে পশুকে যেহেতু পাতলাপায়খানা, পেটফাপার চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন প্রকার চিকিৎসা দেওয়া যাবে না তাই ঐ সময় লিভার টনিক ব্যবহার করা হয় না কারন কিছু কিছু লিভারটনিক আছে ভিটামিন সমৃদ্ধ এর কারনে আবার ডায়রিয়া , পেটফাপা আরো বেড়ে যায়
ব্যাবহারের মাত্রা:- বাজারে যেহেতু বিভিন্ন কোম্পানির ১০০ এর উপরে লিভারটনিক পাওয়া যায় তাই নিদৃষ্ট কোন মাত্রা আগে বলা যাবে না তবে আপনি যে কোম্পীনিরই কিনেন বোতলের গায়ে মাত্রা লেখা থাকে ঐ মাত্রায় বা একটু বেশি দিলেও কোন সমস্যা হবে না । গবাদী পশুর ক্ষেত্রে যদি পানির সাথে দিয়ে না খাওয়াতে পারেন তবে অন্য যে কোন দানাদার খাবারের সাথে খাওয়ালেও প্রায় একই ফলাফল পাবেন ।
লিভারটনিক ব্যাবহারের বাধ্যবাধকতা :- সবসময় ছাগল ভেড়াকে লিভারটনিক খাওয়ানোর কোন বাধ্যবাধকতা নেই তবে কৃমির ঔষুধ খাওয়ালে পর দিন থেকে লিভারটনিক দেওয়াটা জরুরি হয়ে পরে কারন কৃমির ঔষুধ খাওয়ালে লিভারের উপরে খুব দকল পরে এবং পশুটির রুচি কমে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূর্বল হয়ে পরে তাই বাজারে কয়েক প্রকার লিভার টনিক পাওয়া যায়
শুধু ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি ।
ক্যামিকেল এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ।
ক্যামিকেল , প্রকৃতিক উপাদান , ভিটামিন সমৃদ্ধ ইত্যাদি এখানে ভাল কোম্পানি দেখে খাওয়ালে সবগুলোই ভাল কাজ করবে তবে কৃমির ঔষুধ খাওয়ানোর পর দিন থেকে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ লিভারটনিক দিলে পশুটির রুচি স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে । যদি ভিটামিন বি সমৃদ্ধ লিভারটনিক হাতের কাছে না পান তবে যে কোন লিভার টনিকের সাথে আলাদা ভিটামিন বি পাওডার পাওয়া যায় তা প্যাকেটের গায়ে লেখা মাত্রা থেকে একটু বেশি দিতে পারেন ৫-৭ দিন লিভারটনিকের সাথে ।
লিভারটনিকের মূল্য:- বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ১০০ এর উপরে বিভিন্ন নামে লিভার টনিক পাওয়া যায় আর মূল্য ১ লিটার ২৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার উপরেও আছে । এখানে যাদের ১-২ ছাগল , ভেড়া আছে তারা ইচ্চে করলে ১০০ এমএল, ৫০০ এমএল ১ লিটার থেকে পচন্দ করে যেটি ভাল মনে হয় কিনতে পারেন । আর ছাগল ভেড়ার জন্য বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যের কিনতে পারেন । আমি প্রতি মাসে রেগুলার ১ বার একটানা ৫ দিন লিভার টনিক দেয় আর এতে করে লিভার সঠিক থাকে এবং খাদ্য থেকে যাতাযত পুষ্টি গ্রহন করতে পারে । যে মাসে কৃমির ঔষুধ দেয় তখন কৃমির ঔষুধ দেবার পরে লিভার টনিক দেই ।
যেহেতু প্রতি মাসে ১ বার লিভারটনিক ব্যবহার করি তাই ১০০০ টাকা লিটারের উপরে কোন লিভারটনিক ব্যবহার করি না এবং সব সময় বিভিন্ন কোম্পানি পরিবর্তন করে করে ব্যবহার করি । এখানে যে লিভারটনিকের ছবি গুলো দিয়েছি সবগুলোই ১০০০ টাকা লিটারের নিচে লিভাটোন এবং রেসটোলিভ এই দুটি ১ লিটার ৯০০ টাকার উপরে আর বাকি গুলো ২৭০-৫০০ টাকার নিচে তবে দামী গুলো ব্যবহারে মাত্রা কম লাগে ।
বি: দ্র:- লেখাটি যতটুকু পারি বিস্তারিত লিখতে চেষ্টা করেছি আশা করছি যদি মনুযোগ দিয়ে ২-৩ বার পড়লে পোষ্ট সম্পর্কিত ৯৫% উওর পাবেন তার পরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে যত খুশি প্রশ্ন করবেন যেষ্টা করব উওর দিতে ইনশিআল্লাহ ।
লেখক:- Md Zahir
মালিক :- B Baria Goats Farm
ছবি :- B Baria Goats Farm






No comments