অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন এবং ডিজিটাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন

পৃথিবীতে এখন সবথেকে বিক্রীত পণ্যের মধ্যে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন অন্যতম। প্রতিদিন অসংখ্য স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান সময়ে শুধু যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য নয়, বরং স্মার্টফোনের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। অনেকেই, বিশেষ করে তরুণ সমাজ, স্মার্টফোনকে এক ‘আদর্শ এবং ঝামেলাবিহীন’ ছবি তোলার মাধ্যম হিসেবে দেখছে।
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় প্রতিনিয়ত যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে অনেকেই ছবি তোলার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরার পরিবর্তে মোবাইল ফোনকেই বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের অনেকের মোবাইল ফোন ক্যামেরার খুঁটিনাটি নানা দিক সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমাদের পছন্দমতো স্মার্টফোন কিনতে অনেকাংশে সাহায্য করতে পারে।

অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন এবং ডিজিটাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন

স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই দেখা যায়, কাঁপা কাঁপা ভিডিও আসছে। যতই সতর্কভাবে কাজটি করা হোক না কেন, এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া খুব কঠিন। স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণভাবে ডিজিটাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন প্রযুক্তি দেয়া থেকে। স্মার্টফোনে যদি অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন প্রযুক্তিটি না থেকে থাকে তবে এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া বেশ মুশকিল। তবে বর্তমানে অনেক স্মার্টফোনেই অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন প্রযুক্তিটি দেয়া থাকে।
এইচটিসি ওয়ানে সর্বপ্রথম আলট্রাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছিল; Source: Android Authority
ফোনে থাকা ‘জাইরোস্কোপ’ নামের একটি বিশেষ সেন্সরের সাহায্য নিয়ে অপটিকাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন প্রযুক্তিটি কাজ করে থাকে। চলন্ত অবস্থায় ছবি বা ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন প্রযুক্তিটি ক্যামেরা সেন্সরের স্বাভাবিক নড়াচড়ার বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। ফলে আমরা কিংবা মোবাইল ফোনটি নড়লেও সেন্সরটি যথাসম্ভব কম নড়ে। ডিজিটাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশনে সফটওয়্যারগত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই নড়াচড়ার বিপরীতে ‘ইলেকট্রনিক ফ্রেম’ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তবে বিষয়টি অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশনের মতো ফলপ্রসূ নয়।

No comments

Powered by Blogger.