মুরগীর খামারে জিংক ব্যবহার!!!
পোল্ট্রিতে জিংকঃ
-----+++-------
জিংক বা দস্তা একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। জিংক প্রানীর খাদ্য গ্রহণের রুচী বজায় রাখা, প্রজনন স্বাস্থ্য, ত্বক, হাড়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ ছাড়াও দু’শরও বেশি এনজাইমের কাজে কো-ফ্যাকটর হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
⇨জিংক এর কাজঃ
১। জিংক এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট-প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া
রোগ-জীবাণু প্রতিরোধে জিংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জিংক এর অভাব রয়েছে এমন প্রাণি সহজে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়।
২। দেহের অনেক বিপাকীয় কাজে জিংক অংশ নেয়। শর্করা ভাঙনে ভূমিকা রয়েছে, এছাড়া দেহ কোষের বৃদ্ধি, জনন এসবেও সহযোগীতা করে।
৩। লালা গ্রন্থির জিংক নির্ভর পলিপেটাইড, গাসটিন এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়। কাজেই যদি জিংক এর অভাব থাকে তবে স্বাদ বোঝার ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ রুচি কমে যায়।
৪। মোরগ মুরগির পূর্ণ যৌন পরিপক্কতা এবং বংশবৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের জন্য জিংক অত্যাবশ্যক।
৫। জিংক এর অভাবে পোল্ট্রীতে ডিমের হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
৬। জিংক ডিএনএ ও আরএনএ পলিমারেজ এনজাইমের একটি আবশ্যক উপাদান ।
কিছু হরমোন যেমন: গ্লুকাগন, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন এবং সেক্স হরমোন এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭। জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পোল্ট্রীর দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও তার কাজ এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভ্রুণের বৃদ্ধিকালিন সময়ে কঙ্কাল- এর বৃদ্ধির জন্য কেরাটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের দ্বারা জিংক ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে।
৮। তাপ জনিত ধকলে প্রাণির উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। দেখা গেছে যদি খাদ্য তালিকায জিংক এর সরবরাহ থাকে তবে তা এই ধকল প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯। ডায়রিয়া, অামাশয় বা যেকোন পেটের গোলযোগজনীত সমস্যা কমাতে জিংক অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
☞ অভাব জনিত লক্ষণঃ
১। জিংক-এর অভাবে বীর্যের গুণগত মান খারাপ হয়। ফলে ডিমের উর্বরতা কমে যায়।
২। জিংকের অভাবে ছোট বাচ্চা খর্বকায় হওয়া, পায়ের হাড় খাটো ও মোটা হওয়া, hock joint এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ত্বক মোটা হওয়া বিশেষত পায়ের চামড়া, দূর্বল পালক বিন্যাস, লোম পড়ে যাওয়া, পুষ্টি উপাদানের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া, রুচি কমে যেতে পারে।
৩। ডায়রিয়া বা অামাশয় হলে শরীরের তীব্র জিংক ঘাটতি হয়। এরফলে পাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
✔লাল গম ও ওটে জিংক রয়েছে একটু বেশী। এছাড়াও প্রায় সব খাবারেই সামান্য পরিমাণে জিংক থাকে।
অাপনার মোরগ মুরগির জিংকের অভাব পূরণে মাঝে মাঝে জিংক সিরাপ খাওয়াতে পারেন। অামার দেখা ভালো একটা জিংক সিরাপ হচ্ছেঃ
পেপ-২(হিউম্যান ফার্মেসিতে পাবেন)। এছাড়া ভেটেরিনারি- জিসভেট এবং ও-জিংক নির্দেশিত মাত্রায় সপ্তাহে ১-২দিন খাওয়াতে পারেন।
-----+++-------
জিংক বা দস্তা একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। জিংক প্রানীর খাদ্য গ্রহণের রুচী বজায় রাখা, প্রজনন স্বাস্থ্য, ত্বক, হাড়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ ছাড়াও দু’শরও বেশি এনজাইমের কাজে কো-ফ্যাকটর হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
⇨জিংক এর কাজঃ
১। জিংক এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট-প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া
রোগ-জীবাণু প্রতিরোধে জিংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জিংক এর অভাব রয়েছে এমন প্রাণি সহজে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়।
২। দেহের অনেক বিপাকীয় কাজে জিংক অংশ নেয়। শর্করা ভাঙনে ভূমিকা রয়েছে, এছাড়া দেহ কোষের বৃদ্ধি, জনন এসবেও সহযোগীতা করে।
৩। লালা গ্রন্থির জিংক নির্ভর পলিপেটাইড, গাসটিন এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়। কাজেই যদি জিংক এর অভাব থাকে তবে স্বাদ বোঝার ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ রুচি কমে যায়।
৪। মোরগ মুরগির পূর্ণ যৌন পরিপক্কতা এবং বংশবৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের জন্য জিংক অত্যাবশ্যক।
৫। জিংক এর অভাবে পোল্ট্রীতে ডিমের হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
৬। জিংক ডিএনএ ও আরএনএ পলিমারেজ এনজাইমের একটি আবশ্যক উপাদান ।
কিছু হরমোন যেমন: গ্লুকাগন, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন এবং সেক্স হরমোন এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭। জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পোল্ট্রীর দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও তার কাজ এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভ্রুণের বৃদ্ধিকালিন সময়ে কঙ্কাল- এর বৃদ্ধির জন্য কেরাটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের দ্বারা জিংক ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে।
৮। তাপ জনিত ধকলে প্রাণির উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। দেখা গেছে যদি খাদ্য তালিকায জিংক এর সরবরাহ থাকে তবে তা এই ধকল প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯। ডায়রিয়া, অামাশয় বা যেকোন পেটের গোলযোগজনীত সমস্যা কমাতে জিংক অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
☞ অভাব জনিত লক্ষণঃ
১। জিংক-এর অভাবে বীর্যের গুণগত মান খারাপ হয়। ফলে ডিমের উর্বরতা কমে যায়।
২। জিংকের অভাবে ছোট বাচ্চা খর্বকায় হওয়া, পায়ের হাড় খাটো ও মোটা হওয়া, hock joint এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ত্বক মোটা হওয়া বিশেষত পায়ের চামড়া, দূর্বল পালক বিন্যাস, লোম পড়ে যাওয়া, পুষ্টি উপাদানের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া, রুচি কমে যেতে পারে।
৩। ডায়রিয়া বা অামাশয় হলে শরীরের তীব্র জিংক ঘাটতি হয়। এরফলে পাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
✔লাল গম ও ওটে জিংক রয়েছে একটু বেশী। এছাড়াও প্রায় সব খাবারেই সামান্য পরিমাণে জিংক থাকে।
অাপনার মোরগ মুরগির জিংকের অভাব পূরণে মাঝে মাঝে জিংক সিরাপ খাওয়াতে পারেন। অামার দেখা ভালো একটা জিংক সিরাপ হচ্ছেঃ
পেপ-২(হিউম্যান ফার্মেসিতে পাবেন)। এছাড়া ভেটেরিনারি- জিসভেট এবং ও-জিংক নির্দেশিত মাত্রায় সপ্তাহে ১-২দিন খাওয়াতে পারেন।


No comments