গাভীর খাবার কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়-

গাভীর খাবার কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
১। প্রচলিত খাবার (Conventional feed)
২। অপ্রচলিত খাবার (Non conventional feed)

আমি Non Conventional খাবার নিয়ে কিছু লিখবো। (দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নোয়াখালী প্রবাসী একজন খামারী'র প্রশ্ন থেকে)।

যে খাবার সারা বছর কম/বেশি পাওয়া যায় এবং গো-খাদ্য হিসেবে প্রচলিত রয়েছে তাকে প্রচলীত খাবার বা Conventional feed বলে।

আর যে খাবার বছরের একটি মৌসুমে পাওয়া যায় বা যে খাবার গো-খাদ্য হিসেবে প্রচলিত নয় তাকে অপ্রচলিত খাবার বা Non conventional feed বলে। যেমন- কচুরিপানা, বাধাকপি, কাঠাল (ছাল) ইত্যাতি।

Non conventional feed  খাওয়ানো উপকারীতা অথবা অপকারীতা দুইটি রয়েছে।
ছোট গরুর খামার বা কমার্শিয়াল নয় এমন খামারে Non conventional feed জেনে বুজে  ব্যবহার করতে পারেন। সিজোনাল ফ্যাটেনিং খামারে যদি ঘাসের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে পরিমান মত ব্যবহার করতে পারেন। ইহা অবশ্যই ঘাসের বিকল্প হিসেবে পরিমান মত খাওয়াতে হবে (শুকনা খড়ের সাথে)।

এক কথায় বলতে পারেন ইহা মন্দের ভাল।
তবে যাদের বড় কমার্শিয়াল ডেইরী খামার রয়েছে তাদের Non conventional feed না খাওয়ানোই উত্তম। বড় কমার্শিয়াল ফার্মে ঘাসের বিকল্প কোন কিছুই নেই।
কারন-
০১। খাবারের রেশনের তারতম্য ঘটবে ফলে প্রডাকশনে বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
০২। ধরেন আপনি বাধা কপি খাওয়াবেন- বাধাকপি তে কীটনাশক দেওয়া থাকলে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আবার কাঠাল বেশি পরিমানে ব্যবহার করলে কার্বোহাইড্রেট ইনগর্জমেন্ট হতে পারে।
০৩। হঠাৎ নতুন খাবারে অভ্যস্ত করে প্রডাকশন সঠিক রাখা খুব কষ্টকর।

Non Conventional feed এর দিকে না তাকায় প্রয়োজনে আপনি সাইলেজ করে সারা বছর গাভী কে খাবার দিতে পারবেন।
সাইলেজ বিপ্লব করতে পারলে আপনার Non conventional feed এর চিন্তা বা প্রয়োজন কোনটাই আসবে বা।

ধন্যবাদন্তে
ডাঃমোঃ শাহ্-আজম খান।
(ডিভিএম, এমএস ইন এনিমেল সায়েন্স)
কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (রংপুর জোন)
নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড।

No comments

Powered by Blogger.