#Farmented_Corn
সমসাময়িক সময়ের সবচেয়ে হট টপিকস ফার্মেন্টেড কর্ন। অধিকন্তু গমের ভুষির লাগামহীন দাম বৃদ্ধি যাকে আরো হট করে তুলেছে।
আজ #ফার্মেন্টেড_কর্ন এর আদ্যপান্ত নিয়েই লিখবো। ভুট্টা আসলে মনোগ্যাস্টিক প্রাণির খাদ্য হিসেবে বহুল প্রচলিত। কিন্তু অন্যান্য গো-খাদ্যের তুলনায় ভুট্টার দাম কম হওয়াতে সারা বিশ্বেই গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহ্নিত হয়ে আসছে। কিন্তু চার প্রোকোস্ট সমৃদ্ধ প্রাণী ফিবরিউয়াস খাদ্য যেভাবে হজম করতে পারে স্টার্চ সমৃদ্ধ খাদ্য সেভাবে হজম করতে পারে না। যার ফলে আন-প্রসেসড কর্ন খাওয়ালে গোবরের সাথে ভুট্টার দানা বের হয়ে আসতে দেখি। তাই ভুট্টার ডাইজেস্টিবিলিটি বাড়ানোর জন্য দুনিয়াব্যাপি কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় যার মধ্যে আছে:
(১) ভুট্টাকে স্টীম করে খাওয়ানো (সেদ্ধ জাউ করে না মোটেও) ।
(২) স্টীম করে ফ্ল্যাকিং করে খাওয়ানো
(৩) ফার্মেন্টশন করে খাওয়ানো।
প্রথম ২ টা পদ্ধতিই বেশ ব্যয়বহুল ও ম্যাকানিকেল ট্রিটমেন্ট দরকার। কিন্তু তৃতীয় টা অর্থাৎ ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াটা গরু মোটাতাজাকরনে বেশ সহজ ও ইফেক্টিভ।
আগেই বলেছি ভুট্টার নিউট্রিশন ও ডাইজেস্টিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ভুট্টাকে অবশ্যই প্রসেস করে খাওয়াতে হবে।
প্রসেস করার মেটেরিয়ালস:
ভুট্টা = ৬০ কেজি
খড় = ৪০ কেজি
** এডিটিভস = ৩ কেজি
মোলাসেস = ৩-৫ কেজি।
** এডিটিভস তৈরি করার মেটেরিয়ালস ও প্রক্রিয়া:
ইউরিয়া = ৪০%
লাইমস্টোন = ৩৩%
লবন = ২৭%
অর্থাৎ ৩ কেজি এডিটিভস বানাতে হলে :
ইউরিয়া লাগবে = ১ কেজি ২০০ গ্রাম।
লাইমস্টোন লাগবে = ৯৯০ গ্রাম
লবন লাগবে = ৮১০ গ্রাম।
প্রসেস করার প্রক্রিয়া:
Step-1: প্রথমে ৬০ কেজি ভুট্টা ভাংগা একটি শুকনা ত্রিপল বা পাকা জায়গায় বিছাবো,
Step-2: ৩কেজি এডিটিভস এই ভুট্টার সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিবো।
Step-3: এডিটিভস মিশ্রিত ভুট্টাকে ২২ কেজি পানি দিয়ে এমনভাবে মিশাবো যাতে পুরো পানিটা ৬০ কেজি ভুট্টা এবজর্ভ করে ফেলে।
Step-4: অন্য আরেকটি জায়গায় ৪০ কেজি খড় পাতলা করে বিছিয়ে দিবো তারপর এডিটিভস ও পানি মিশ্রিত ভুট্টাগুলো খড়ের উপর ছিটিয়ে দিবো।
Step-5: একটি পাত্রে ৪০-৫০ লিটার পানি নিবো তার মধ্যে ৫ কেজি মোলাসেস ভালো করে মিশিয়ে একটি সল্যুশন বানিয়ে নিবো।
Step-6: এরপর মোলাসেস বা চিটাগুড় মিশ্রিত পানি ঝর্ণা দিয়ে খড় ও ভুট্টার উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। ছিটানোর পর খড়, ভুট্টা ও মোলাসেস মিশ্রিত পানি ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
Step-7: তারপর এগুলোকে কোন পিট বা পলিথিন বা ড্রামে ভরে ভালোভাবে কম্প্যাক্ট করে বায়ুশুন্য অবস্থায় কমপক্ষে ২১ দিন রেখে দিতে হবে।
ফার্মেন্টেড কর্ন খাওয়ালে প্রোটিন ও মিনারেলস এর জন্য অবশ্যই #প্রোটিন_সাপ্লিমেন্ট খাওঋাতে হবে।
পরবর্তী পর্বে লিখবো খাওয়ানোর পদ্ধতি ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সম্পর্কে।
সমসাময়িক সময়ের সবচেয়ে হট টপিকস ফার্মেন্টেড কর্ন। অধিকন্তু গমের ভুষির লাগামহীন দাম বৃদ্ধি যাকে আরো হট করে তুলেছে।
আজ #ফার্মেন্টেড_কর্ন এর আদ্যপান্ত নিয়েই লিখবো। ভুট্টা আসলে মনোগ্যাস্টিক প্রাণির খাদ্য হিসেবে বহুল প্রচলিত। কিন্তু অন্যান্য গো-খাদ্যের তুলনায় ভুট্টার দাম কম হওয়াতে সারা বিশ্বেই গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহ্নিত হয়ে আসছে। কিন্তু চার প্রোকোস্ট সমৃদ্ধ প্রাণী ফিবরিউয়াস খাদ্য যেভাবে হজম করতে পারে স্টার্চ সমৃদ্ধ খাদ্য সেভাবে হজম করতে পারে না। যার ফলে আন-প্রসেসড কর্ন খাওয়ালে গোবরের সাথে ভুট্টার দানা বের হয়ে আসতে দেখি। তাই ভুট্টার ডাইজেস্টিবিলিটি বাড়ানোর জন্য দুনিয়াব্যাপি কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় যার মধ্যে আছে:
(১) ভুট্টাকে স্টীম করে খাওয়ানো (সেদ্ধ জাউ করে না মোটেও) ।
(২) স্টীম করে ফ্ল্যাকিং করে খাওয়ানো
(৩) ফার্মেন্টশন করে খাওয়ানো।
প্রথম ২ টা পদ্ধতিই বেশ ব্যয়বহুল ও ম্যাকানিকেল ট্রিটমেন্ট দরকার। কিন্তু তৃতীয় টা অর্থাৎ ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াটা গরু মোটাতাজাকরনে বেশ সহজ ও ইফেক্টিভ।
আগেই বলেছি ভুট্টার নিউট্রিশন ও ডাইজেস্টিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ভুট্টাকে অবশ্যই প্রসেস করে খাওয়াতে হবে।
প্রসেস করার মেটেরিয়ালস:
ভুট্টা = ৬০ কেজি
খড় = ৪০ কেজি
** এডিটিভস = ৩ কেজি
মোলাসেস = ৩-৫ কেজি।
** এডিটিভস তৈরি করার মেটেরিয়ালস ও প্রক্রিয়া:
ইউরিয়া = ৪০%
লাইমস্টোন = ৩৩%
লবন = ২৭%
অর্থাৎ ৩ কেজি এডিটিভস বানাতে হলে :
ইউরিয়া লাগবে = ১ কেজি ২০০ গ্রাম।
লাইমস্টোন লাগবে = ৯৯০ গ্রাম
লবন লাগবে = ৮১০ গ্রাম।
প্রসেস করার প্রক্রিয়া:
Step-1: প্রথমে ৬০ কেজি ভুট্টা ভাংগা একটি শুকনা ত্রিপল বা পাকা জায়গায় বিছাবো,
Step-2: ৩কেজি এডিটিভস এই ভুট্টার সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিবো।
Step-3: এডিটিভস মিশ্রিত ভুট্টাকে ২২ কেজি পানি দিয়ে এমনভাবে মিশাবো যাতে পুরো পানিটা ৬০ কেজি ভুট্টা এবজর্ভ করে ফেলে।
Step-4: অন্য আরেকটি জায়গায় ৪০ কেজি খড় পাতলা করে বিছিয়ে দিবো তারপর এডিটিভস ও পানি মিশ্রিত ভুট্টাগুলো খড়ের উপর ছিটিয়ে দিবো।
Step-5: একটি পাত্রে ৪০-৫০ লিটার পানি নিবো তার মধ্যে ৫ কেজি মোলাসেস ভালো করে মিশিয়ে একটি সল্যুশন বানিয়ে নিবো।
Step-6: এরপর মোলাসেস বা চিটাগুড় মিশ্রিত পানি ঝর্ণা দিয়ে খড় ও ভুট্টার উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। ছিটানোর পর খড়, ভুট্টা ও মোলাসেস মিশ্রিত পানি ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
Step-7: তারপর এগুলোকে কোন পিট বা পলিথিন বা ড্রামে ভরে ভালোভাবে কম্প্যাক্ট করে বায়ুশুন্য অবস্থায় কমপক্ষে ২১ দিন রেখে দিতে হবে।
ফার্মেন্টেড কর্ন খাওয়ালে প্রোটিন ও মিনারেলস এর জন্য অবশ্যই #প্রোটিন_সাপ্লিমেন্ট খাওঋাতে হবে।
পরবর্তী পর্বে লিখবো খাওয়ানোর পদ্ধতি ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সম্পর্কে।




No comments