গরুর খুরা রোগ হলে কি করবেন জেনে নিন
যে সকল রোগ গরুর হয়ে থাকে তার মধ্যে,
খুরা রোগ গবাদী পশুর জন্য মারাত্মক।
এই রোগটি আসলে ভাইরাস জনিত রোগ।
খুরা রোগে বড় গরুর মৃত্যুর হার কম তবে বাচুরের নয়।
যেভাবে এই রোগ সৃষ্টি হয়:
=================
★★★খুরা রোগ যেহেতু ভাইরাস জনিত রোগ সেহেতু এই রোগ নানা ভাবে সংক্রমন হতে পারে এমন কি বাতাসের মাধ্যমে ও.....................
এই রোগের লক্ষণঃ
=============
১।প্রাণীর শরীলে প্রচন্ড জ্বর আসে, মাঝেমাঝে শরীলের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় ও ঝাঁকুনী সৃষ্টি হয়।
২।খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয়।
৩।মুখে ঘাঁ থাকার কারণে গরু খাবার পূর্বের মতো খাই না, অনেক সময় দেখা যায় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।
৪।পায়ের তলদেশ ঘাঁ ও দুই খুড়ের মাঝখানের মাংশে ঘাঁ হয় তাই হাঁটতে পারে না ও নড়াচড়া কম করে।
৫।দুধালো গাভী হলে দিন দিন দুধের পরিমাণ এবং ওজন কমে যায়।
৬।জিব্বার চামড়া গুলো ওঠে গিয়ে লাল দাগের মতো হয়ে যায় এবং ঘাঁ গুলো আস্তেআস্তে বিস্তার লাভ করে।
খুরা রোগ যেভাবে প্রতিরোধ করা যায়ঃ
==========================
১।সময় মতো ভ্যাকসিন দিতে হবে।
২।খামারে যে কোন মানুষ সবসময় ই প্রবেশ করে এই নিয়ম বন্ধ করতে হবে।
৩।গরুর পা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত খামারে জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে ও গরুর নিচে রাবার মেট থাকলে রাবার মেট সরিয়ে নিচের অংশ পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে নূন্যতম ২ দিন।
৪।অন্য কোথাও থেকে গরু আনলে খামারে সরাসরি পালের সাথে রাখা যাবে না।
৫।বাহির থেকে আনা কোন ব্যবহৃত দ্রব জীবাণুমুক্ত করে খামারে প্রবেশ করাতে হবে।
৬।হাতে ময়লা থাকলে সরাসরি গরুর শরীলে হাত না দেওয়া, হাত পরিষ্কার করে হাত দেওয়া।
৭।অন্য কোন খামারের আক্রান্ত প্রাণীর কাছ থেকে আসলে শরীলের কাপড় পরিধাণ করে নিজ খামারে প্রবেশ করা।
তারপরে ও এই রোগ হলে দ্রুত প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।
আর দ্রুত চিকিৎসা না নিলে আক্রান্ত প্রাণী মারা ও যেতে পারে।
পরিশেষে বলব,
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রতিটি খামারীর মেনে চলা উচিত।
মোঃ জুলমত আলী
খুরা রোগ গবাদী পশুর জন্য মারাত্মক।
এই রোগটি আসলে ভাইরাস জনিত রোগ।
খুরা রোগে বড় গরুর মৃত্যুর হার কম তবে বাচুরের নয়।
যেভাবে এই রোগ সৃষ্টি হয়:
=================
★★★খুরা রোগ যেহেতু ভাইরাস জনিত রোগ সেহেতু এই রোগ নানা ভাবে সংক্রমন হতে পারে এমন কি বাতাসের মাধ্যমে ও.....................
এই রোগের লক্ষণঃ
=============
১।প্রাণীর শরীলে প্রচন্ড জ্বর আসে, মাঝেমাঝে শরীলের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় ও ঝাঁকুনী সৃষ্টি হয়।
২।খুরা রোগে আক্রান্ত গরুর মুখ ও নাক দিয়ে লালা বের হয়।
৩।মুখে ঘাঁ থাকার কারণে গরু খাবার পূর্বের মতো খাই না, অনেক সময় দেখা যায় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।
৪।পায়ের তলদেশ ঘাঁ ও দুই খুড়ের মাঝখানের মাংশে ঘাঁ হয় তাই হাঁটতে পারে না ও নড়াচড়া কম করে।
৫।দুধালো গাভী হলে দিন দিন দুধের পরিমাণ এবং ওজন কমে যায়।
৬।জিব্বার চামড়া গুলো ওঠে গিয়ে লাল দাগের মতো হয়ে যায় এবং ঘাঁ গুলো আস্তেআস্তে বিস্তার লাভ করে।
খুরা রোগ যেভাবে প্রতিরোধ করা যায়ঃ
==========================
১।সময় মতো ভ্যাকসিন দিতে হবে।
২।খামারে যে কোন মানুষ সবসময় ই প্রবেশ করে এই নিয়ম বন্ধ করতে হবে।
৩।গরুর পা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত খামারে জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে ও গরুর নিচে রাবার মেট থাকলে রাবার মেট সরিয়ে নিচের অংশ পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে নূন্যতম ২ দিন।
৪।অন্য কোথাও থেকে গরু আনলে খামারে সরাসরি পালের সাথে রাখা যাবে না।
৫।বাহির থেকে আনা কোন ব্যবহৃত দ্রব জীবাণুমুক্ত করে খামারে প্রবেশ করাতে হবে।
৬।হাতে ময়লা থাকলে সরাসরি গরুর শরীলে হাত না দেওয়া, হাত পরিষ্কার করে হাত দেওয়া।
৭।অন্য কোন খামারের আক্রান্ত প্রাণীর কাছ থেকে আসলে শরীলের কাপড় পরিধাণ করে নিজ খামারে প্রবেশ করা।
তারপরে ও এই রোগ হলে দ্রুত প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।
আর দ্রুত চিকিৎসা না নিলে আক্রান্ত প্রাণী মারা ও যেতে পারে।
পরিশেষে বলব,
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রতিটি খামারীর মেনে চলা উচিত।
মোঃ জুলমত আলী


No comments